,

শহরে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বেচা-কেনা

জুয়েল চৌধুরী : সারা দেশে শীত জেঁকে বসার সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জের বিভিন্ন ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বেচাকেনা। শীতের সাথে সাথে দমকা হাওয়ায় মানুষকে বিপর্যস্ত করে তোলছে। সন্ধ্যার পর অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গতকাল বুধবার সরেজমিনে শীতবস্ত্রের প্রধান মার্কেট শায়েস্তানগর হকার্স মাকেটসহ শহর ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার দুই ধারে ফুটপাতে বাহারি ধরনের শীতের পোশাকের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। মোটামুটি এক-দেড়শ থেকে ৭০০/৮০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন সাইজের সোয়েটার, কানটুপি, মাফলার, শাল, ট্রাউজার, কম্বলসহ বিভিন্ন শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এই মার্কেটে। সকাল ও বিকেলে অফিস ছুটির সময়টাতে ওইসব দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্তদের পাশাপাশি করোনায় তিগ্রস্ত অনেকে এবার শীতের পোশাক কেনাকাটায় ফুটপাতকে বেছে নিয়েছেন। ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রেতা জাহির ও মাসুম, সিজিল বলেন, মৌসুমের শুরু থেকে বিক্রি মোটামুটি ভালো। তবে এখন শীত বাড়ায় বিক্রি অনেক বেড়েছে। তারা বলেন, করোনায় ব্যবসার অনেক তি হয়েছে। করোনা না হলে মানুষের হাতে পয়সা আরও বেশি থাকতো আমাদেরও বিক্রি আরও বেশি হতো। ফুটপাতের ক্রেতা শাওন খান বলেন, আয় কম তাই ফুটপাত থেকে কিনছি। মধ্যবিত্ত-নি¤œবিত্তদের ক্রয়সীমায় মোটামুটি সব রকম পোশাকেই ফুটপাতে পাওয়া যায়। শপিংমলগুলোতে কেনাকাটার চেয়ে ফুটপাতে কেনাকাটা সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, ফুটপাতে মানহীন অনেক পণ্য রয়েছে। যাচাই-বাছাই করে কিনতে হয়। করোনায় চাকরি হারানো আবু বকর এবারই প্রথম ফুটপাতে কেনাকাটা করেন। তিনি বলেন, মানুষের দিন এক রকম যায় না। করোনা সব ওলট-পালট করে দিয়েছে। শীত ঠেকাতে কিনতেই হবে তাই মেয়ের জন্য শীতের সোয়েটার কিনলাম। এই প্রথম ফুটপাত থেকে কিনলাম।


     এই বিভাগের আরো খবর